ভৈরবে ছিনতাইকারীদের হাতে প্রাণ যায় ব্যবসায়ী আশিকুরের দাবি পুলিশের

ভৈরবে ছিনতাইকারীদের হাতে প্রাণ যায় ব্যবসায়ী আশিকুরের দাবি পুলিশের,কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ব্যবসায়ী আশিকুর রহমান (৩৮) হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে সোহাগ মিয়া (৩০) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সকালে নরসিংদীর ভেলানগর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের দাবি, গ্রেপ্তারের পর গতকাল রাতে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন তিনি।গ্রেপ্তার সোহাগ মিয়া ভৈরব উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের আবুল মিয়ার ছেলে। পুলিশ বলছে, সোহাগের বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের মামলা আছে। তাঁর নেতৃত্বে গঠিত একটি চক্র মহাসড়কে নিয়মিত চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি করে।

 

ভৈরবে ছিনতাইকারীদের হাতে প্রাণ যায় ব্যবসায়ী আশিকুরের দাবি পুলিশের

 

ভৈরবে ছিনতাইকারীদের হাতে প্রাণ যায় ব্যবসায়ী আশিকুরের দাবি পুলিশের

নিহত আশিকুরের বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার ঘাগুটিয়া গ্রামে। তাঁর বাবার নাম গোলাপ মিয়া। গত শনিবার রাতে ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদ এলাকায় বিসিক শিল্পনগরীর পাশ থেকে আশিকুরের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় ওই স্থান থেকে আশিকুরের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গতকাল সকালে আশিকুরের স্ত্রী স্বর্ণা বেগম বাদী হয়ে ভৈরব থানায় হত্যা মামলা করেন।পুলিশ জানায়, প্রাথমিক

জিজ্ঞাসাবাদে সোহাগ জানিয়েছেন ঘটনার দিন তাঁরা পাঁচজন ছিলেন। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের একটি মুদিদোকানে চুরি করার। কিন্তু ওই দিন প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে তাঁরা ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। পরে রাত নয়টার দিকে সোহাগ ও তাঁর সঙ্গীরা আঞ্চলিক মহাসড়কের বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় অবস্থান নেন। আশিকুর ওই সময় মোটরসাইকেল নিয়ে ওই সড়ক দিয়ে ভৈরবের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় সড়কের ওপর কৌশলে জাল ফেলে আশিকুরের গতি রোধ করেন সোহাগ ও তাঁর সঙ্গীরা। এর পর তাঁরা আশিকুরকে হত্যা করে তাঁর মুঠোফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে যান।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

 

ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম বলেন, সোহাগ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। আজ তাঁকে আদালতে নিয়ে এক সপ্তাহের রিমান্ড চাওয়া হবে। অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করা গেলে সোহাগের সঙ্গে থাকা অন্যদের সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে।আশিকুরের স্ত্রী স্বর্ণা বেগম মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছিলেন, তাঁর স্বামী ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন বলে আশঙ্কা করছেন। তবে এখন তিনি বলছেন, আশিকুরের মৃত্যুর পেছনে

ব্যবসায়িক লেনদেনের যোগসূত্র আছে। তাঁর দাবি, ‘আমার স্বামী বড় ডকইয়ার্ড ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি ব্যবসায়ীদের কাছে কয়েক কোটি টাকা পেতেন। টাকা উদ্ধার নিয়ে দুশ্চিন্তা ও চাপ অনুভব করতেন। যেহেতু শরীরে আর কোথাও আঘাতের চিহ্ন নেই, সুতরাং মনে হচ্ছে হত্যাকাণ্ড ছিল পরিকল্পিত।’এজাহারে এসব বিষয় উল্লেখ নেই কেন, জানতে চাইলে স্বর্ণা বলেন, ‘আমি তো এসব উল্লেখ করতে চেয়েছি। এখন নেই কেন জানি না।’

পরিবারের এই অভিযোগের বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ভৈরব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহ আলম মোল্লা বলেন, বাদীর স্বাক্ষরিত এজাহারে ব্যবসা-সংক্রান্ত লেনদেনের সূত্রে হত্যার বিষয়টি নেই। তবে পরিবার এখন যে অভিযোগ তুলেছে, সে বিষয়টি মাথায় রেখেই তদন্ত করা হচ্ছে।

 

ভৈরবে ছিনতাইকারীদের হাতে প্রাণ যায় ব্যবসায়ী আশিকুরের দাবি পুলিশের

 

আরও পড়ুন:

7 thoughts on “ভৈরবে ছিনতাইকারীদের হাতে প্রাণ যায় ব্যবসায়ী আশিকুরের দাবি পুলিশের”

Leave a Comment