থামার ইশারায় গতি কমানো বাসে উঠতে গিয়ে নিচে পড়ে গেল প্রাণ,কিশোরগঞ্জের ভৈরবে যাত্রীবাহী বাসের নিচে চাপা পড়ে মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর ভৈরব প্রান্তে বাসে উঠতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা।মিজানুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাকের পার্টির সাবেক সভাপতি। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার টিএ রোডের কাজিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে তাঁর কুরিয়ারের ব্যবসা রয়েছে।

থামার ইশারায় গতি কমানো বাসে উঠতে গিয়ে নিচে পড়ে গেল প্রাণ
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল ব্যবসায়িক প্রয়োজনে মিজানুর রহমান ভৈরব এসেছিলেন। কাজ শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফেরার জন্য রাত ১০টার দিকে তিনি সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর ভৈরব প্রান্তের টোল প্লাজায় আসেন। সেখানে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ব্রাহ্মণবাড়িয়াগামী সোহাগ পরিবহনের একটি বাস আসতে দেখে মিজানুর রহমানসহ তিনজন থামার ইশারা দেন। গাড়ি গতি কমালে মিজানুর দৌড়ে উঠতে যান। কিন্তু তখন বাসের দরজা বন্ধ ছিল। এতে বাসের সঙ্গে মিজানুর রহমানের ধাক্কা লাগে এবং পড়ে গিয়ে চাকার নিচে চলে যান।

গুরুতর আহত অবস্থায় মিজানুর রহমানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বিনিতা দাস জানান, হাসপাতালে আনার আগেই মিজানুর রহমানের মৃত্যু হয়।সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার ভৈরব প্রান্তের ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী বলেন, সিসি ক্যামেরায় দেখা গেছে, মিজানুর বাসটিতে উঠতে চেষ্টা করেন। তখন দুর্ঘটনাটি ঘটে।

মিজানুর রহমানের মেয়ে লিপি বেগম বলেন, ব্যবসার কাজে তাঁর বাবা ভৈরব এসেছিলেন। কাজ শেষে ফোন করে জানিয়েছিলেন বাসে বাড়ি ফিরছেন। কিন্তু বাবার আর ফেরা হলো না।ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, দুর্ঘটনার পর বাসটি দ্রুত চালিয়ে এর চালক আশুগঞ্জ প্রান্তে চলে যান। তখন উপস্থিত জনতা দৌড়ে গিয়ে বাসটিকে জব্দ করেন। তবে চালককে ধরতে পারেননি।
আরও পড়ুন:
