কিশোরগঞ্জে ‘নির্মূল বায়ু এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য উন্নত পদ্ধতিতে ইট উৎপাদন প্রক্রিয়া সম্প্রসারণ প্রকল্প’ বিষয়ে অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আইসিডিডিআরবির আয়োজনে গতকাল মঙ্গলবার জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান। আয়োজন সহযোগিতায় ছিল বুয়েট, গ্রিনটেক নলেজ সলিউশন ও স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি।
কিশোরগঞ্জে অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় সভা
সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রায় ৮ হাজার ইটভাটা রয়েছে। যার ৯০ ভাগ জিগজাক ভাটা। কিশোরগঞ্জে ১০৪টি ইটভাটা রয়েছে যার মধ্যে ১০২টি জিগজাগ ভাটা। দেশের ইট ভাটাগুলো বছরে প্রায় ১০ মিলিয়ন টন কার্বন ডাইঅক্সাইড ও ৫০ হাজার টন অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা (পিএম ২.৫) নিঃসরণ করে। এতে বাতাস দূষিত হচ্ছে। মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ধুলোর দূষণ রুখতে তাই ইটভাটাগুলোতে ডাবল জিকজাগ (কম ঘনত্বে ইট সাজানো) প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে।

এছাড়াও ইট পোড়ানোর সময় একজন ফায়ারম্যান দিয়ে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কয়লা প্রদান, ভাটার উপরে অধিক পুরুত্বের রাবিশ দিয়ে ঢেকে দেয়া, ভাটার প্রবেশপথে অধিক পুরুত্বের দেয়াল রাখা এবং শুধুমাত্র প্রথমদিকের চেম্বারে কয়লার সাথে কাঠের গুঁড়ো ব্যবহার করতে হবে। এতে ভাটাগুলোতে প্রতি লাখ ইট উৎপাদনে কয়লার ব্যবহার ২৪ ভাগ হ্র্রাস পাবে। একটি ইটভাটায় প্রতি সিজনে ৪৫ লাখ টাকার কয়লা খরচ বাঁচবে।

কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসরণ ২১ ভাগ হ্রাস পেয়ে প্রতি ভাটায় বছরে ৩৮২ টন কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসরণ কমবে। প্রতি সিজনে ভাটাপ্রতি পিএম২.৫ ২১ ভাগ হ্রাস পাবে অর্থাৎ ভাটা প্রতি এক টন পিএম২.৫ কম উৎপন্ন হবে। শুধু তাই নয় এতে এক নম্বর ইট উৎপাদন ১৪.২ ভাগ বৃদ্ধি পাবে। ফলে বাতাসের দূষণ অনেকাংশে কমে যাবে। ইট ভাটার মালিকেরা আর্থিকভাবেও লাভবান হবে।
আরও পড়ুন: